হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে বন্দরের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ সময় নৌ মন্ত্রী বলেন, নাকুগাঁও স্থলবন্দর ভবিষ্যতে ভারত, ভুটান, নেপালের সাথে বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য ও সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে। এজন্য বন্দরটির উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ায় কাজের সুযোগ বাড়বে। এতে এলাকার ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
উদ্বেধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার চক্রবর্তী। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন নৌ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব পংকজ কুমার পাল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) আমিনুল হক চৌধুরী, নাকুগাঁও স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, ভ্যাট ও কাস্টমস এক্সাইজ সহকারী কমিশনার সফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমান রিপন, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানসহ অন্যরা। অনুষ্ঠানে ২৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক কর্নেল বায়েজিদ খান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আমদানি-রপ্তানিকারক, ব্যবসায়ী, বন্দরের শ্রমিক নেতা ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ-ভারতের সকল বৈধ পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টসহ নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান নাকুগাঁও এলাকায় পূর্ণাঙ্গ বন্দরের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমির উপর পূর্ণাঙ্গ বন্দরের জন্য ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদিত ভারত-বাংলাদেশের সকল পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করতে পারবেন।
পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর কার্যক্রম চালু হওয়া নাকুগাঁও স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের চাওয়া ছিলো নাকুগাঁও স্থলবন্দরটি পূর্ণাঙ্গ হোক। অবশেষে সেই চাওয়া পূরন হয়েছে।