মধুপুরে গৃহবধু খুন, স্বামী ও মা গ্রেফতার

মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে আব্দুল্লাহ আবু এহসান: টাঙ্গাইলের মধুপুরে এক গৃহবধু খুন হয়েছে। স্বামীর সাথে বড় বোনের পরকীয়ার জের ধরে এই খুন হয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে গৃহবধুর স্বামী রবিউল ইসলাম সাগর (৩০) ও মা রহিমাকে (৪৮) পুলিশ আটক করেছে। রোববার রাত ২টার দিকে উপজেলার রক্তিপাড়া গ্রামে গৃহবধু মনিরা বেগম মনি (২৬) বাবা ইসহাকের বাড়িতে খুন হয়েছেন। স্বামী রবিউল ইসলাম সাগর শশুর বাড়িতে থাকতো।

2
খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে গৃহবধুর স্বামী রবিউল ইসলাম সাগরকেপুলিশ আটক করে

এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে তরিঘড়ি করে দাফন করার চেষ্টা চলছিল। রহস্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মধুপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং জড়িত সন্দেহে স্বামী রবিউল ইসলাম সাগর ও মা মনিরাকে আটক করে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ৯ বছর আগে ইসহাকের দ্বিতীয় মেয়ে মনিরার সাথে পঞ্চগড় জেলার পাগলাপীর এলাকার রবিউল ইসলাম সাগরের বিয়ে হয়।  সংসার জীবনে তাদের ৫ বছরের আরাফাত নামের এক ছেলে সন্তান আছে। গত দুই বছর ধরে মনিরার বিধবা বড় বোন রোজিনার (৩০) সাথে সাগরের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এলাকায় একাধিকবার শালিসী বৈঠকে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। বিষয়টিতে মা ও বাবার রহস্যজনক সমর্থন থাকায় সুষ্ঠু সমাধান হয়নি বলে এলাকবাসীর অভিযোগ। এক পর্যায়ে রোববার রাত ২ টার দিকে স্বামী সাগর, শশুর ও শাশুড়িসহ পরিবারের একাধিক জনের সহযোগিতায় স্ত্রী মনিরাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সকালে ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। ইতোমধ্যে মনিরার বাবা ইসহাক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সহকারি পুলিশ সুপার (গোপালপুর-সার্কেল) জমির উদ্দিন আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।