শেরপুর থেকে রেজাউল করিম: শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভিজিডির তালিকায় নাম দিতে নগদ টাকা বিনিময়, সময়মতো চাল বিতরণ না করা, প্রত্যেককে ৫/৬ কেজি করে চাল কম দেওয়াসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সরকারের সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে ভুক্তভোগী গরিব নারীরা। রোববার ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় অনেকে ক্ষোভের সাথে বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বাররা গরিবের চাল আত্মসাত করে, বিচার হয়না।
ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রতন কুমার জানান, এখানে ১শ ৩৫ জনকে ভিজিডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে সাড়ে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা। তবে খাদ্য গুদাম থেকে আমাদের চাল কম দেয়, এ জন্য আমরাও কম দেই। ভিজিডি কার্ডপ্রাপ্তরা অভিযোগ করে বলেন, সচিব , চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারদের সামনেই চৌকিদাররা চাল কম দেয়। কেউ প্রতিবাদ করেনা। ভুক্তভোগীদের অনেকে বলেন, এখানে যারা আসেন সবাই গরিবের চাল খায়। তাই গরিবেরা সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।
তারা অরো অভিযোগ তুলে বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বাররা ভিজিডির তালিকা করার সময় তিন চার হাজার করে টাকা নেয়। এখন চাল বিতরণেও কম দেয়। তাহলে আমরা সরকারের কি পাইলাম? এ ব্যাপারে কথা হয় চাল বিতরণে পরিদর্শন অফিসার উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা এনামূল হকের। তিনি বলেন, আপনারা দেখেন, চাল কম হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবা শারমিন বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। এমনি নানা অভিযোগ আর অনিয়মের কারণে সরকারের সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে হতদরিদ্ররা।