বগুড়া প্রতিনিধি: প্রাচীন নদী করতোয়া দখল ও দূষণরোধে বগুড়া পৌরসভার মেয়রকে দূষণরোধ ও জেলা প্রশাসনকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার এবং বিচারপতি এসএম জহুরুল হক এর সমন্বয়ে গঠিত মহামান্য হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এছাড়াও করতোয়া নদীর ১১৬ কিলোমিটার পথ আগের অবস্থায় ফিরে দেওয়ার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন।
পাশাপাশি গাইবান্ধার খুলশিতে করতোয়া নদীর উৎসমুখ বন্ধ খুলে দেওয়াসহ জনগণের মতামত নিয়ে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয় করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজশাহী বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরকে।
সেই সাথে বগুড়া পৌরসভাকে তার সকল বর্জ্য নদীতে ফেলার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আদালতের দেওয়া নির্দেশ বাস্তবায়ন করে পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়কে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
বেলা’র রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার সান্যাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়ার সুধী সমাজের পক্ষ থেকে বেলার কাছে নদীদখল ও দূষণমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করার পর বেলা গত জানুয়ারিতে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বগুড়া, গাইবান্ধার ডিসি ও এসপিসহ ১৯ জনকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়।
কয়েক বছর আগে বগুড়ার জেলা প্রশাসন ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ টিএমএসএস ও ডায়াবেটিক হাসপাতালসহ ২৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করে।