বাগেরহাট প্রতিনিধি: ইলিশ আহরণ মৌসুমের শুরুতে সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে উপকূলীয় এলাকার জেলে পরিবারগুলো বেশ খুশি। সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত ঝাটকা ধরা নিষেধ হলেও ইলিশ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেরা কোনো ঝাটকার দেখা পাচ্ছেনা।
মৌসুম শুরুতেই স্থানীয় বলেশ্বর, ভোলাসহ বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় তাদের জালে বড় বড় ইলিশ ধরা পড়ছে। যে কারণে জেলেরা বেশ উৎফুল্ল। তবে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও দাম অনেকটা বেশি বলে দাবি স্থানীয় ক্রেতাদের। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে বার শত টাকা দরে এবং ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ছয় শত থেকে সাত শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
উপজেলার কদমতলা গ্রামের আঃ হালিম ও ইসমাইল হাওলাদারসহ কয়েক জন জেলে জানান, শুরুতে যেভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে তা অব্যাহত থাকলে দাম অনেকটা কমবে। শরণখোলা উপজেলা জেলে সমিতির সভাপতি মো. দুলাল ফরাজী বলেন, স্থানীয় নদীগুলোতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেরা আনন্দিত। তবে জেলেরা সরাসরি ইলিশ বাজারজাত করতে পারলে বেশি লাভবান হতো।
উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, গত ২/৩ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ইলিশ ধরা পড়ছে। দাদন ব্যাবসায়ী ছাড়াও জেলেরা সরাসরি বাজারে ইলিশ বিক্রি করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে ৫/৭ টাকা আৎড়দারকে কমিশন দিতে হবে। উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার শহিদুর রহমান জানান, দাদন ব্যাবসায়ীদের কমিশন দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে রবিবার দিনগত রাত থেকে স্থানীয় জেলেরা বলেশ্বর নদীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর ইলিশ পাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।