মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মনু মিয়া (৩৫) হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আজ বুধবার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকায় চার্জশিটে প্রধান আসামি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনজুর হোসেন সুমনসহ যুবলীগের ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. রফিকুল ইসলাম চার্জশিট প্রদানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ মামলারর তিন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন, মনজুর হোসেন সুমন (৩৮), আনোয়ার হোসেন ওরফে লিটন কেরানী (৩৮), আনোয়ার হোসেন আনা বয়াতী (৩৭), জসিম বয়াতী (৩০), আক্তার হোসেন ওরফে আক্তার চোরা (৩৫), মো. বাছেদ (৪০), মনির হোসেন (২৮), সফি উল্যা সওদাগর ওরফে সাফু বেপারী (৪০), ফয়সাল (২৬), মো. ফারুক বেপারী (৩৮), আলম বয়াতী (৪০)। এদের মধ্যে প্রধান আসামি সুমন চর আবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সহিদ উল্যা বিএসসির পুত্র।
এ বছরের ১৩ মার্চ পূর্ব বিরোধের জের ধরে চর আবাবিল ইউনিয়নের হায়দরগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে মনজুর হোসেন সুমনসহ অভিযুক্তরা মনুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ মার্চ মনুর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মনুর ভাগ্নে মো. নাদিম মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ২ নম্বর আসামি আনোয়ার হোসেন ওরফে লিটন কেরানী, ১০ নম্বর আসামি ফারুক বেপারী ও ১১ নম্বর আসামি আলম বয়াতী গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে লক্ষ্মীপুর কারাগারে রয়েছেন। অন্যরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাদের নামে আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে।