বাগেরহাট প্রতিনিধি: নিম্নচাপ ও মৌসুমি বায়ুর কারণে পাঁচ দিনের লাগাতার বর্ষণে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট, ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। অকেজো স্লুইজ গেটের কারণে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় দেখা দিয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতা। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। টানা বৃষ্টিতে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, ফকিরহাট, মোলাহাট, চিতলমারী, কচুয়া ও সদর উপজেলার অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
মোলেড়গঞ্জ, মংলা ও বাগেরহাট পৌরসভার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ও বস্তি এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। রাস্তা-ঘাটে হাঁটু পানি জমে গেছে। অনেক জায়গায় ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাবান্না বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। হাস-মুরগীসহ গবাদি পশুও দুর্ভোগে। জেলার অধিকাংশ মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, স্লুইজ গেটগুলো দিয়ে ঠিকমত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিপর্যয় আরও বাড়ছে। নানা রোগব্যাধী ছড়িয়ে পড়ছে। মোড়েলগঞ্জে গাবতলা, সিংজোড় এলাকায় দুই কিলোমিটার ভেড়িবাধ ও উত্তর সুতালড়ী গ্রামে দুই কি.মি. কাঁচা রাস্তা ধসে গেছে। নদীর ভাঙনও বেড়েছে।
মোরেলগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম মাহমুদ আলী জানান, তার ইউনিয়নের গাবতলা ও কাঠালতলা গ্রামের ২শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নদীর তীরবর্তী ১কি.মি কাঁচা রাস্তা ধসে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ওই এলাকার আরো দুই শতাধিক পরিবার ও গবাদি পশু।
চিংড়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাসেম জানান, সিংজোড় চন্ডিপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নদীর তীরবর্তী ১ কি.মি কাঁচা ভেড়িবাধ ভেঙে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সিংজোড় বাজারসহ শতাধিক পরিবার।
বারইখালী ইউনিয়নের চোরম্যান মো. আউয়াল খাঁন মহারাজ জানান, উত্তর সুতালড়ী গ্রামের নদীর তীরবর্তী কাসেম হাওলাদার ও ইদ্রিস হাওলাদারের ত্রাণের ঘর ভেঙে পড়েছে। কাটাখালের পুল হতে এসবি বাজার পর্যন্ত ৪ কি.মি কাঁচা রাস্তা ধসে গেছে।