বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে বিরামপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ চোরাকারবারি নিহত

রতন সিং, দিনাজপুর: বিরামপুর রেলস্টেশনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও চোরাকারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই চোরাকারবারি গুলিতে মারা গেছে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়।

নিহতরা হচ্ছে বিরামপুরের পুর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের শুকুর আলী চৌকিদারের পুত্র শাহীন (২৮) ও বিরামপুর রেলওয়ে কলোনির আব্দুর রশিদের পুত্র সুলতান (২৫)। তারা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

দিনাজপুর বিজিবির সেক্টরের অভিযান কমান্ডার মেজর রবিউল ইসলাম জানান, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় খুলনা থেকে সৈয়দপুরগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর স্টেশনে থামলে কিছু চোরাকারবারি ওই ট্রেনে ভারতীয় মালামাল তোলার চেষ্টা করে। এ সময় ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধীন বিরামপুর বিশেষ ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা দিয়ে কিছু চোরাই পণ্য আটক করে। ট্রেনটি সৈয়দপুরের দিকে চলে গেলে চোরাকারবারিরা বিজিবির কাছ থেকে আটক পণ্য ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় বিজিবি ও চোরাকারবারিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবির ওপর চড়াও হলে বিজিবি সদস্যরা ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এতে রেলস্টেশনের পশ্চিমপাশে চোরাকারবারি দলের শাহীন ও সুলতান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আহত হয় ১৫ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে এলাকাবাসী সন্ধ্যা ৬টা থেকে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক ও রেললাইনর উপর গাছ ফেলে অবরোধ করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) রাজশাহীগামী আন্তনগর তীতুমীর ট্রেন বিরামপুর রেলস্টেশনে আটকে পড়েছে।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিরামপুরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আল মাসুদ জানান, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে এবং জনগণকে অবরোধ তুলে নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক চলছে। খুব শিঘ্রই যানবাহন চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে।

ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোরবান আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চোরাকারবারিরাই বিজিবির ওপর আক্রমণ করেছিল। বিজিবি আত্মরক্ষার্থে ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।