রতন সিং, দিনাজপুর: বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে মঙ্গলবার বিজিবির গুলিতে নিহত দুজনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিজিবির হাতে আটক চোরাই পণ্য কেড়ে নিতে গেলে বিজিবি ও চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের সময় পুর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের শুকুর আলী চৌকিদারের পুত্র শাহীন (২৮) ও একই গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র সুলতান (২৫) মারা যায়।
বিরামপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত দুজনের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। বিকেল ৪টায় মৃতদেহ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিজিবি সদস্যদের আসামি করে বিরামপুর থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ আজ বিকাল পৌনে চারটা পর্যন্ত ওই এজাহার রেকর্ড করেনি বলে তারা অভিযোগ করেন।
বিরামপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এই মৃত্যুর ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করে লাশ দুটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে বিজিবির অভিযানে ট্রেন তল্লাশি করে চোরাই পণ্য উদ্ধারের সময় চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। বিজিবি আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষণ করলে দুজন নিহত হয়। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কোরবান আলী জানান, এই ঘটনায় চোরাচালানীদের হামলায় বিজিবির পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। বিজিবির উদ্ধারকৃত চোরাই পণ্য হামলাকারীরা কেড়ে নিয়ে গেছে।