দিনাজপুর থেকে রতন সিং: দিনাজপুরের বিরামপুরে বিজিবি এবং চোরাকারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলি বর্ষণে দুজন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে বিরামপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ খায়রুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবির অধীনস্থ বিশেষ ক্যাম্পের হাবিলদার আবুল বাসার বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিট এবং দুজনকে হত্যার ঘটনায় ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি হিসাবে বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান, জামান, ফারুক, ভোলা, আনোয়ারুল, মাইনুল, রুসেল, সাহেব আলী, হেদায়েত, আসমা, সখিনা, খায়রুলসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় চোরাচালানি কাজের সাথে জড়িত ও চোরাই পণ্য বিক্রি করে এমন অজ্ঞাত ৩০০ জনকে সন্দেহজনকভাবে আসামি করা হয়।
একই সময়ে বিরামপুর বিশেষ ক্যাম্পের হাবিলদার সাদেক আহমেদ বাদী হয়ে বিজিবির ট্রেন তল্লাশি করে পাওয়া দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের কাপড় ও মশলা লুট করে নেওয়ার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অপর আরেকটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিজিবির আটকের পর পালিয়ে যাওয়া আসামি বিরামপুর উপজেলার শালবাগান এলাকার ইউসুফ আলীর পুত্র খোরশেদ আলীসহ অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৩০ জুন বিকেল ৫টায় বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি লোকাল ট্রেন বিজিবির টহলদল তল্লাশি করে চোরাই পণ্য উদ্ধার করে। এ সময় চোরাকারবারিরা বিজিবির উপর চড়াও হয়ে চোরাই পণ্য কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ায় ও সংঘর্ষের সময় বিজিবি সদস্যদের ছোড়া গুলিতে বিরামপুর উপজেলার পূর্ব জগন্নাথপুর গ্রামের শুকুর আলী চৌকিদারের পুত্র শাহীন (২৮) ও আব্দুর রশিদের পুত্র সুলতান (২৫) মারা যায়।