খুলনা প্রতিনিধি: সুন্দরবন রক্ষায় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির উদ্যোগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন রক্ষায় কনভেনশন’ অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আ ফ ম মহসীনের সভাপতিত্বে কনভেনশন উদ্বোধন করেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। কনভেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
কনভেনশনে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সুন্দরবনকে ক্ষত-বিক্ষত করে কোনও প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না। আমাদের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ প্রয়োজন কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের প্রকৃতি, সুন্দরবনকে ধ্বংস করে বিদ্যুৎ কিংবা উন্নয়ন প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে অন্য কোথাও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হলে এর আশপাশে কোন রকম কোন প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না।
কনভেনশনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবনের ভিতরে ও চারপাশে নির্মাণাধীন এবং সকল সরকারি বেসরকারি প্রকল্পসহ যে কোনও ধরনের স্থাপনা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয়তা জরুরি মনে হলে বন থেকে নিরাপদ দূরত্বে স্থানান্তর করতে হবে। অবিলম্বে একটি পরিবেশবান্ধব জাতীয় সুন্দরবন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
কনভেনশন শেষে কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব এ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার চার দফা সম্বলিত একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। ঘোষণায় আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে একটি সাংস্কৃতিক গণসমাবেশের ঘোষণা করা হয়।
কনভেনশন প্রস্তুতি কমটির সদস্য সচিব এ্যাড. মো. বাবুল হাওলাদার এর সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ্ হারুন চৌধুরী। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল এবং বেলা খুলনা’র সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ আব্দুল মতিন, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, সিডিপি’র নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম, তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সংগঠক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স।
কনভেনশনে প্রস্তাবনা পর্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আলী আহমেদ, খুবির অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ভুইয়া, যশোরের এ্যাড. আবুল হোসেন, তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাটের আহাদ উদ্দিন হায়দার, ফরুক হাসান জুয়েল, মঞ্জুরুল আলম, মংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নুর আলম শেখ, কিশোর রায়, কৃষি জমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সুশান্ত দাস, মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব এম এ সবুর রানা, নিজেরা করির ভূমিহীন সংগঠনের গৌর কিশোর সরদার, আব্দুল হালিম, সৌরভ সমাদ্দার ও মোঃ রাসেল।
এছাড়াও পরিবেশবাদী ও সুন্দরবন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মনোজ দাস, অধ্যাপক শেখ সাদী ভূঁঞা, এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, এসএ রশিদ, এইচ এম সাহাদৎ, মফিদুল ইসলাম, এ্যাড. মোমিনুল ইসলাম, আলহাজ্ব লোকমান হাকিম, মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহাম্মদ, নারীনেত্রী রসু আক্তার, এ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, এ্যাড. এম এম রুহুল আমিন, ডাঃ গৌতম সরকার, নাজমুল আযম ডেভিড, স্বপন কুমার দাস, আবুল খায়ের মজনু, অশোক সরকার, নিতাই পাল, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, মাকছুদুর রহমান মিলন, এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন, মাহাবুব আলম বাদশা, মাহাবুব আলম প্রিন্স, এস এম দেলোয়ার হোসনে, আফজাল হোসনে রাজু, প্রভাষক বজলুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি।