হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুরে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক জাহিদুল ইসলাম নিখোঁজের ৬ মাস পর মঙ্গলবার আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জাহিদুলের বন্ধু ফারুক ও তার পিতাসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে জাহিদুলের পিতা ইউসুফ আলী নালিতাবাড়ী আমলী আদালতে এ হত্যা মামলা করেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদ নিয়মিত মামলা গ্রহণ সাপেক্ষে দ্রুত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার পূর্ব মানিককুড়া গ্রামের বাসিন্দা ইউসূফ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (২৮) গত ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যায় প্রতিদিনের মতো ভাড়ায় চালানোর জন্য নিজের টিভিএস ১০০ সিসি মোটর সাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন।
জাহিদুলের বাবা অভিযোগ করেন, পার্শ্ববর্তী কাকরকান্দি গ্রামের সাবেক মেম্বার মোক্তার হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেনের (২৯) সাথে আত্মীয়তা ও বন্ধুত্বের সূত্রে প্রায় চার বছর আগে জাহিদুল স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারে ‘ওরা দুইজন ঋণদান সমবায় সমিতি লি.’ প্রতিষ্ঠা করে। সমিতির মূলধন প্রায় ১২ লাখ টাকায় উন্নীত হলে ফারুক জাহিদুলকে এড়িয়ে যেতে থাকে। প্রায় ৭ মাস আগে তাদের অংশিদারিত্ব নিয়ে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে হালখাতা শেষে অংশিদারিত্ব ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১১ জানুয়ারী সন্ধ্যার দিকে ফারুক জাহিদুলের বাড়িতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ভোগাইপাড় এলাকায় যাত্রা দেখার কথা বলে মোটর সাইকেলসহ তাকে নিয়ে যায়। পরদিন ফারুক ফিরে এলেও জাহিদুল ফিরে আসেনি।পরে তার মোবাইলে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জাহিদুলের খোঁজ-খবর নিতে তার বাবা ফারুকের বাড়িতে গিয়ে জাহিদুলের পায়ের জুতা (কেডস) দেখতে পান। ওই ঘটনায় জাহিদুলের বাবা নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দিতে গেলে থানা পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে একটি জিডি গ্রহণ করে। এরপর জাহিদুলের এক চাচার মোবাইল ফোনে কয়েক দফা ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে সে বিষয়টিও থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। বিষয়টি স্থানীয় পত্র-পত্রিকাতেও ছাপা হয়।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ওসি ফসিহুর রহমান জানান, আদালতে হত্যা মামলার অভিযোগ করার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন আদালত থেকে যে ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে সে অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।