ঈদকে সামনে রেখে গফরগাঁওয়ে মাদকের মজুত

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) থেকে আতাউর রহমান মিন্টু: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঈদকে সামনে রেখে মাদক ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজা মজুদ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উপজেলার ইয়াবার বড় আড়ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে গফরগাঁও থানার আওতাভুক্ত পৌরশহরের স্টেশনরোড়ের জমিদার বাড়ি সংলগ্ন কুমার ভিটা, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কাঁচারী রোড় ও মেক্সীস্ট্যান্ড এলাকা। এ সব এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রিনা, শ্যামলী, শেফালী, রিক্তা ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ থানা পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে একাধিকবার ধরা পড়ে এবং এদের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়। এরা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও ফিরে যায় পুরনো মাদক ব্যবসায়।

গফরগাঁও থানার ভারইল বাজার, দীঘা কালিবাড়ি বটগাছ এলাকা, পৌরশহরের শিবগঞ্জ রোড় ১নং গলি, ২নং গলি, পাগলা থানার গয়েশপুর, দেউলপাড়া, জয়ধরখালী, কান্দিপাড়া বেপারী বাড়ি, নূড়াপাড়া, বীরখারুয়া, মশাখালী রেলস্টেশন এলাকায় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজার মজুদ গড়ে তুলেছে। উপজেলার ৭/৮জন ডিলারের মাধ্যমে এসব মাদক মজুদ করা হয় বলে জানা গেছে। আর এসব মাদক চলে যাবে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে।

উপজেলার অর্ধশতাধিক স্পটের মাদক ব্যবসা অবাধ রাখতে থানা পুলিশকে দিতে হয় মোটা অংকের মাসোহারা। মূলত মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত, ধনী শ্রেণির কিশোর-কিশোরী আর যুবকরাই মাদক ব্যবসায়ীদের মূল খদ্দের। অনেকেই ধারণা করছেন এবারের ঈদ এবং ঈদ পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে উপজেলায় কয়েক কোটি টাকার ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ মাদক বিকিকিনি চলবে। মাদক ব্যবসার সাথে অনেক জনপ্রতিনিধিরও সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের নির্বাচিত দুই ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে গফরগাঁও সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে।