জাহিবা হোসাইন, মংলা (বাগেরহাট): মংলায় ভারী বর্ষণে প্রায় চার হেক্টর জমির তিন হাজারের বেশি চিংড়ি ঘের ও প্রায় পাঁচ হাজার পুকুর তলিয়ে গেছে।
চিংড়ি ঘের ও পুকুর প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে প্রায় ১৮০০ মেট্রিক টন বাগদা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে এখানকার প্রায় ২০০০ ঘের মালিক ও মাছ চাষী।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বিরামহীন ভারী বর্ষণে উপজেলার ৪000 হেক্টর জমির চিংড়ি খামার ও পুকুর ভেসে গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণে মংলা শহর ও শহরতলীর অনেক জায়গায় এখন হাটু পানি রয়েছে । রাস্তা, ড্রেন ও স্লুইস গেট নির্মাণ কাজ চলায় বন্ধ রাখা হয়েছে ড্রেনের মুখ এবং বাধ দেয়া হয়েছে খালের উপর। তাই পানি নামতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আলী প্রিন্সসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শুক্রবার সকালে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম তদারকি করেন।
মুহম্মাদ আলী প্রিন্স বলেন, সরকারী খালের উপর অবৈধ বাধ দেয়ায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। খালের অবৈধ বাধ অপসারণের কাজ চলছে, বাধ অপসারণ হলে জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক পৌর মেয়র শেখ আব্দুস সালাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর আলম শেখ, শ্রমিক নেতা মো. খলিলুর রহমান, ইমাম হোসেন, ওমর ফারুক সেন্টু, সাংবাদিক কামরুজ্জামান জসিম, নাগরিক নেতা নাসির তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর মো. হোসেন ও মো. ইউনুস আলী।