মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে আব্দুল্লাহ আবু এহসান: পবিত্র ঈদুল ফেতরকে সামনে রেখে বাহারী ডিজাইনের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মধুপুর কারিতাস সিল্কের কারিগররা। সোমবার সরেজমিন মধুপুর উপজেলার জলছত্র কারিতাস সিল্ক পল্লীর কারখানা ঘুরে দেখা যায় তাঁতের মাকুরের খট খট শব্দে মুখরিত সিল্ক পল্লী। শেষ মুহুর্তে নানা ডিজাইনের শাড়ি, পাঞ্জাবী, থ্রি-পিচ ও টুপি তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই নির্ঘুম সময় কাটছে তাদের। সব মিলিয়ে সেখানে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।

কারখানার সুপারভাইজার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, কারিতাস সিল্ক কারখানায় তৈরি পোশাক গুণে ও মানে ভাল হওয়ায় দেশ ছাড়াও স্পেন ও ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কারখানার মহিলা কারিগর আকলিমা জানান, ঈদকে সামানে রেখে এ সিল্ক কারখানায় উৎপাদিত কাপড়ের চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের কাজ করতে হচ্ছে রাতদিন। কারিগর রুবিনা জানান, এ কারখানার পোশাকের গুণ ও মান ভাল থাকায় এ পণ্য দেশের বাইরে যাচ্ছে।
এ কারখানায় সুতা থেকে শুরু করে পূর্ণাঙ্গ পোশাক পর্যন্ত এখানেই তৈরি হয়। যার ফলে এ কারখানায় উৎপাদিত পোশাকের মান বজায় থাকে। এখানে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, থ্রি-পিচ, থানকাপড়, সিল্ক শাড়ি, চাদর, টুপি, ও শিশুদের পোশাকসহ ৪০-৫০ ধরনের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। এ কারখানাটি ১৯৯২ সালে চালু হয়ে আজ পর্যন্ত সুনামের সাথে চালু আছে। কারখানার কারিগর শাহনাজ, রুবিনা, শ্যমলাসহ অনেকেই জানালেন কাজের চাপে এখন তাদের দম ফেলার ফুরসৎ নেই।