ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে স্বপন কুমার কুন্ডু: ঈশ্বরদীতে যুবলীগ কর্মী ও আমবাগান এলাকার হত্যা মামলার আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা নিয়ে পুলিশের গাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ, রাস্তায় ব্যারিকেড ও পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটেছে। তাকে থানায় নিয়ে গেলে দলীয় তদবির ও ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর ঘটনাস্থল হতে সরাসরি পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
রোববার দিবাগত রাতে ঈশ্বরদী শহরের আমবাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম নিয়ে পুলিশ আমবাগান এলাকায় মাদক বিক্রেতা ও মাদকাসক্তদের গ্রেফতার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য যায়। এ সময় সেখানে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের নিকট হতে শফিকুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে তার বাহিনী ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং রাস্তায় মোটরসাইকেল রেখে ব্যারিকেড দেয়। এতে ঈশ্বরদী থানার একাধিক পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আবু ওবায়েদ। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় হত্যা, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান সংক্রান্তসহ ৮টি মামলার পলাতক আসামি শফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শফিকুলের বাহিনীকে পুলিশ প্রতিরোধ করে প্রাথমিকভাবে ঝামেলামুক্ত হলেও থানায় আবারও তদবির বা ঝামেলা হতে পারে ভেবে ঘটনাস্থল থেকেই তাকে পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে তিনি জানান। ওসি জানান, রোববার রাতে তাকে গ্রেফতারের সময় পুলিশী কাজে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ জানুযারি শহরের কলেজ রোডে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১নং আসামিসহ ৮টি মামলার পলাতক আসামি শফিকুল। দলীয় সূত্র জানায় শফিকুল ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সক্রিয় কর্মী।