দিনাজপুর থেকে রতন সিং: ডিবি পুলিশের কনষ্টেবলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কলেজ ছাত্রী অপহরণের মামলা হয়েছে আদালতে। বিচারক অভিযোগটি চিরিরবন্দর থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে ৭ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার আদেশ প্রদান করেছেন।
বুধবার দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতার-উল-আলমের এজলাসে খানসামা উপজেলার মো. সানাউল্লাহ দিনাজপুরে কর্মরত ডিবি পুলিশের কনষ্টেবল মো. শাহিনসহ (৩৮) ৪ জনের বিরুদ্ধে তার কলেজ পড়–য়া কন্যা সুমি আখতারকে (১৬) অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর ৩ আসামি হলেন খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের মো. জয়নুল (২৬), মো. আব্দুর রহিম (২৮) ও মো. মোজাম্মেল হক (৪৫)।
অপহৃত কলেজ ছাত্রী সুমির পিতা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ২৫ জুলাই রানীরবন্দর ইছামতি মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমি আখতারকে আসামিরা কলেজের গেট থেকে ওই দিন দুপুর দেড়টায় অপহরণ করে একটি মোটরসাইকেলে সৈয়দপুরের দিকে নিয়ে যায়। মামলার ৩ নং আসামি ডিবি পুলিশের কনষ্টেবল শাহিনের সাথে সাক্ষী আব্দুল হাই মোবাইল ফোনে আলাপের সময় ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন।
চিরিরবন্দর থানায় অপহরণের মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করায় বাদী মো. সানাউল্লাহ বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক আখতার-উল-আলম অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আগামী ৭ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রতি আদেশ প্রদান করেন।