হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: কোটালীপাড়া উপজেলায় একই শাড়িতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী-স্ত্রীর। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পশ্চিম নৈয়ারবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পশ্চিম নৈয়ারবাড়ী গ্রামের দীনেশ বাগচীর ছেলে দীপক বাগচী (২০) ১৩ মাস আগে রামশীল গ্রামের বিবেক হালদারের মেয়ে লাকী বাগচীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেই কাটছিল। তবে কি কারণে এ নব দম্পতি আত্মহত্যা করেছে তা পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীর কাছে পরিষ্কার নয়।
দিনেশ বাগচী বলেন, ঘটনার দিন আমরা সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে দীপক ও বৌমাকে ঘরে না দেখে বাড়ির চারপাশে খোঁজাখুঁজি করি। হঠাৎ আমার ছোট ছেলে ও ভাতিজা বাড়ির পাশের একটি পুকুর পাড়ে একই শাড়ির সঙ্গে দুজনকে ঝুলতে দেখে গাছ থেকে তাদের নামিয়ে আনে।
কোটালীপাড়া থানার এসআই ছবেদ আলী বলেন, স্বামী-স্ত্রীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতা তুষার মৃত্যুবার্ষিকীতে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন খানের (তুষার) ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে শহরের স্বর্ণ-টাওয়ারে সংগঠনের দলীয় কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোহসিন উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আক্রামুজ্জামান আকরাম, যুগ্ম-আহবায়ক নেতা বিএম আলম সিদ্দিকী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মোহম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তাসবিরুল হুদা বাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক সভাপতি ও তুষারের ভাই আরিফ হোসেন খান জুয়েলসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে নেতৃবৃন্দ শহরে একটি শোক র্যালি বের করে। র্যালীটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর-কবরস্থানে গিয়ে তুষারের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
বিএনপি সরকারের সময় ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই দিনব্যাপী শ্রমিক ধর্মঘট চলাকালে পুলিশ ও বিএনপি সমর্থিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাকিব হোসেন খান (তুষার) নিহত হন। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, রতন বালা ও লেনিনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
জামিনে মুক্তি পেয়ে বাদীর ওপর হামলা
জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলার বাদী এবং তার আত্মীয়দের ওপর হামলা চালিয়ে চারজনকে আহত ও দোকানপাট ভাংচুর করেছে আসামি পক্ষ। বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়া উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামে খাল কাটাকে নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য সমর মাঝি ও চিত্তরঞ্জন সরকারের বিরুদ্ধে একই গ্রামের বিজয় হালদার বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক জামিন না-মঞ্জুর করে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে লোকজন নিয়ে কালীগঞ্জ বাজারে বাদী বিজয় হালদার ও তার ভাই বরেন হালদারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিজয় হালদারের ভগ্নিপতি চাঁদ মোহন বল্লভ ও তার ভাই মনিমোহন বল্লভ বাধা দিলে হামলাকারীরা তাদেরও মারপিট এবং মনিমোহনের দোকানপাট ভাংচুর করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত চাঁদ মোহনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদী বিজয় হালদার বলেন, আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে এসেই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এমনকি তারা আমার ভগ্নিপতি চাঁদ মোহন ও তার ভাই মনিমোহনকেও মারধর করেছে। তারা মনিমোহনের দোকান ভাংচুর করে লুটপাট চালায়।
মামলার আসামি ইউপি সদস্য সমর মাঝি বলেন, মামলার বাদী পক্ষের সাথে আমাদের শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি হয়েছে। কোনো মারপিট, দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।