হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। শোক দিবসের প্রথম প্রহর থেকে বিকেল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মন্ত্রী, এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন।

কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও দুর্যোাগ বিষয়ক মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন মায়া, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসার, সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেব নাথ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় তারা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স মসজিদের অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি যারা বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আজ হোক কাল হোক তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে।
বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় সমাধিসৌধের বেদী ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলাসহ আশ-পাশের জেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
বিকেলে যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন, বললেন সৈয়দ আশরাফ ও তোফায়েল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন মেয়াদ শেষে সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সরকারের অধীনে দেশে শান্তিপূর্ণ অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব তা শেখ হাসিনার সরকার প্রমাণ করে দিবে। সেই নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ গ্রহণ না করে তাহলে দেশ থেকে বিএনপির রাজনীতি নির্মূল হয়ে যাবে। দুপুরে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে যে কোনও দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনেই। বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনশেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
জানুয়ারি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ১০ হাজার টাকা হবে
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেন, জুলাই মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের৮ হাজার টাকা এবং আগামী জানুয়ারি থেকে ১০ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হবে। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপরিয়া গ্রামে হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শনশেষে এ তথ্য জানান।
এ সময় সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর,সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ন কবীর, বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী সরদার আব্দুল মালেক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মিকাইল উপস্থিত ছিলেন। এরপর মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি হলরুমে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।
হেমায়েত বাহিনী স্মৃতি জাদুঘর হলরুমে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ শেষে মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক উপজেলা কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।