প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাট ও চিতলমারীতে ১০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গিয়ে মাছের ঘের এবং ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে চিত্রা নদীতীরের একাধিক স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এসব গ্রামের পানিবন্দি মানুষ চরম দুর্দশায় পড়েছেন।
চিত্রা নদীর দুই পাশে ফকিরহাটের কলকলিয়া, পুটিয়া, গুড়গুড়িয়া, গোয়াবাড়ী, চিতলমারী উপজেলার ডুমুরিয়া, খিলগাতী, রায়গ্রাম, করাতদিয়া এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার উজলপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীর দুই পাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু প্রবল বর্ষণ ও চিত্রা নদীর জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়া অধিকাংশ গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির চাপে বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেড়ীবাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় গ্রাম গুলি পানিতে ভাসছে।
স্থানীয়রা জানান, মাছের ঘের, ফসলি জমি, ঘরবাড়ি, আঙ্গিনা সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে। অনেকে রান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খাচ্ছেন। এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ডুবে একাকার হয়ে পড়ায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
অপর দিকে শুভদিয়া ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর, কচুয়া, বড় শুভদিয়া, ছোট শুভদিয়া, চুরাশী, তেকাটিয়া, পিলজংগ ইউনিয়নের পিলজংগ, শ্যামবাগাত, টাউন নওয়াপাড়া, বালিয়াডাঙ্গা, বাহিরদিয়া ইউনিয়নের ছোট বাহিরদিয়া, ফকিরহাট সদরের আটটাকী,পাগলা, সাতসাইয়া, নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের নলধা মৌভোগ দোহাজারী,লখপুর ইউনিয়নের ভবনা জাড়িয়া এলাকার বেশ কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে।
সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে মুলঘর ইউনিয়নের পুটিয়া, গুড়গুড়িয়া, গোয়াবাড়ী, সদর ইউনিয়নের আটটাকী, শুভদিয়া ইউনিয়নের কচুয়া ঘনশ্যামপুর চুরাশী ও বাশবাড়ী এলাকা। উপজেলা প্রশাসন সরেজমিনে পরির্দশন করে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করলেও নানা জটিলতার কারণে স্থায়ী সমাধান সম্ভব হচ্ছেনা।
মৎস্য সপ্তাহের সমাপনীতে পুরস্কার পেলেন সফল মাছ চাষি ও উদ্যোক্তারা
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিনে বাগেরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষি ও খাদ্য উৎপাদনকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয় সস্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলার শ্রেষ্ঠ গলদা ও বাগদা চাষি, মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী, রপ্তানিকারক, পোনা উৎপাদনকারী সাতজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন উল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণচন্দ্র মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম, রবীন বিশ্বাসসহ অন্যরা। শেষে বাগেরহাট ভৈরব নদীতে দেশীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।