সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন চেয়েছেন মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান

আজিজুল ইসলাম, মৌলভীবাজার: মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন করে ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে। নয়তো একসময় আদিবাসী বলে কিছু থাকবে না।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সোমবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ঝিমাই পানপুঞ্জিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।

national human rights commission chairman at Jhimai
অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান (বাঁ থেকে চতুর্থ)।

ঝিমাই পানপুঞ্জির আদিবাসী ও ঝিমাই চা-বাগান কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভূমিসংক্রান্ত দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও এই ঝিমাইকে বাংলাদেশ কাছে টেনে নিতে পারল না। এই ব্যর্থতার দায়ভার রাষ্ট্র ও প্রশাসনের। যারা পুঞ্জিবাসীকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন, তা তাদের নিজস্ব মত। ১০ দিন কেন ১০০ দিন চলে গেলেও আদিবাসীরা যদি প্রশাসনের সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়, তবে তার দায়ভার আদিবাসী খাসিয়াদের নয়, প্রশাসনকে নিতে হবে। কোনো কিছুর দায়ভার জনগণের ওপর চাপানো যাবে না।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, পরিবেশ আন্দোলন বাপার সিলেট বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, ঝিমাই চা বাগান ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন সরকার, কুবরাজের সাধারণ সম্পাদক ফ্লোরা বাবলী তালাং, খাসিয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জিডিসন সুচিয়াং, পুঞ্জিবাসীর পক্ষে কুইনবন সরং ও পুঞ্জিমন্ত্রী (হেডম্যান) রানা সুরংসহ অন্যরা।

মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান  বলেন, দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, বিরোধ আদিবাসী খাসিয়া ও চা-বাগান মালিকের মধ্যে। প্রশাসন কিংবা রাষ্ট্র কেন ব্যক্তি মালিকানাধীন চা বাগানের পক্ষ নেবে। পুঁজিবাদের পক্ষ  নিয়ে ৬০- ৭০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করতে রাষ্ট্রের কি কোনো লজ্জাবোধ হবে না? কোনো সংকট আমরা চাই না। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আমরা সংকটের উত্তরণ ঘটাতে চাই।