কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে মিলন কর্মকার রাজু: মাঝ নদীতে খেয়া নৌকা থেকে পড়ে প্রায় ২০ মিনিট সাঁতরে তীরে উঠে জীবন বাঁচালেন কলাপাড়া মহিলা অধিদপ্তরের মহিলা বিষয়ক সহকারী রুবা আক্তার (৪০) ও গৃহবধু মমতাজ বেগম (৩০)। এ সময় খেয়ায় ২৫/৩০ জন যাত্রী ও খেয়ার তিন শ্রমিক এবং নদীর দুই পাড়ে শতাধিক মানুষ এ দৃশ্য দেখলেও কেউ তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। মঙ্গলবার দুপুরে কুয়াকাটাগামী হাজীপুর খেয়াঘাটের সোনাতলা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
মহিলা বিষয়ক সহকারী রুবা আক্তার বলেন, ‘কুয়াকাটা থেকে একটি অনুষ্ঠান শেষে কলাপাড়া শহরে আসার জন্য হাজীপুর খেয়া নৌকায় উঠি। খেয়া নৌকাটি মাঝ নদীতে আসার পর খেয়ার মাঝির অসাবধানতায় শেখ জামাল সেতুর পিলারের সাথে জোড়ে ধাক্কা লাগে। এদে ট্রলার থেকে তাঁরা দুজন নদীতে পড়ে যান। নদীর স্রোতের টানে তাঁরা ভেসে গেলেও তাঁদের সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি’।
প্রায় বিশ মিনিট নদীতে ভাসার পর খেয়াটি স্থানীয় মানুষের চাপে তাঁদের তুলে কূলে নিয়ে আসে। এতে তাঁরা দু’জনই আহত হন। তাঁরা এ ঘটনায় খেয়ার শ্রমিকদের শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় একাধিক মানুষ জানান, খেয়ার মাঝি রহিমের খামখেয়ালীর কারণে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের তুলতে আর একটু দেরী হলেই হয়তো নদীর স্রোতের টানে ভেসে যেত। খেয়ার মালিক রহিম তার ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।