মোস্তফা কামাল, কিশোরগঞ্জ: ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে রোববার রাতে হোসাইন সাজ্জাদ হোসেন প্রান্ত (১৫) নামে কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্র নিহত হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে আজ শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
বেলা ১২টার দিকে সরকারি বালক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর কালীবাড়ি এলাকায় বালক বিদ্যালয় ও কিশোরগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পৃথক মানববন্ধন করেছে। তারা অবিলম্বে এই হত্যা রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে। দাবি না মানলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
রোবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে কিশোরগঞ্জ স্টেশন থেকে ময়মনসিংহগামী ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এরপরই স্টেশনের এক কিলোমিটার উত্তরে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনে দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে মৃত অবস্থায় প্রান্তকে রেললাইনে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সাজ্জাদ হোসেন প্রান্ত শহরের উকিলপাড়ার এনামুল হক মুসার ছেলে। তাদের বাড়ি মিঠামইন উপজেলার কাটখাল শান্তিপুর গ্রামে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো রোববার বিকালে প্রান্ত প্রাইভেট পড়তে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যায় সে ফোন করে জানিয়েছিল, প্রাইভেট শেষ করে বাসায় ফিরতে রাত হবে। কিন্তু রাতে বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বজনরা তার কোচিং সেন্টারে গিয়ে সেখানে না পেয়ে সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। এদিকে স্থানীয়রা রেললাইনের পাশে একটি লাশ দেখতে পেয়ে কিশোরগঞ্জ জিআরপি থানাকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রান্তর লাশ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কিশোরগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি সুভাষ কান্তি দাস জানান, রেলে কাটা ছাড়া প্রান্তর গায়ে অন্য কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। জিআরপি পুলিশ আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে বলে ওসি জানিয়েছেন।