নিবন্ধনবিহীন মোটরসাইকেল চালানোয় পুলিশের মারধর, নালিতাবাড়ীতে যুবক আহত

এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর: নিবন্ধনবিহীন মোটরসাইকেল চালানোর অভিযোগে নালিতাবাড়ীতে পুলিশের এক এসআইয়ের নির্যাতনে রনি আহমেদ (২২) নামের এক যুবক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে নালিতাবাড়ী থানার এসআই আরিফ হোসেন শহরের আনসার ক্যাম্প রোডে রনিকে মারধর করেন। আহত রনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে গড়কান্দার বাসা থেকে বেরিয়ে নিবন্ধনবিহীন পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে দুই বন্ধুসহ শহরে প্রবেশ করছিল রনি আহমেদ। এসময় এসআই আরিফসহ পুলিশের একটি টহলদল মোটরসাইকেলটি থামায়। পুলিশ গাড়ি জব্দ করতে চেষ্টা করে। রনি গাড়ি থামানোর কারণ জানতে চাইলে এসআই আরিফ রনিকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এতে রনি আহত হয়ে পড়ে গেলে বন্ধুরা তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দসহ নেতৃস্থানীয়রা হাসপাতালে রনিকে দেখতে যান। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেন তারা। তারা বলেন, নিবন্ধনবিহীন গাড়ির জন্য আইন প্রয়োগ করা যেতে পারে। তাই বলে গায়ে হাত দেওয়া পুলিশের উচিত হয়নি।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও রনির বন্ধুরা জানায়, একই সময় সামনে থাকা আরও দুটি নিবন্ধনবিহীন মোটরসাইকেল ও পেছনে আরো একটি মোটরসাইকেল পাশ কাটিয়ে চলে গেলেও ওই তিনটিকে সিগন্যালই দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ওই সময় কোন অভিযানও চলছিল না। এসআই আরিফ  উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই রনিকে আটকে মারধর করেছে।

এ ব্যাপারে এসআই আরিফের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

নালিতাবাড়ীর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফসিহুর রহমান জানান, অবৈধ মোটরসাইকেল ধরতে অভিযান চলছিল। রনি নামে ছেলেটি অবৈধ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। গাড়ি জব্দ করতে গেলে সে পুলিশের সঙ্গে বিতর্কে জড়ায়। রনির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে উচ্ছৃঙ্খল। মারধরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, পুলিশ মোটরসাইকেল চেক করতে চাইলে সে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। তাকে আটক করতে চাইলে এক পর্যায়ে সে মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়।

এদিকে থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই ফয়েজুর রহমান জানান, অবৈধ মোটরসাইকেলে বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্ত কোন অবৈধ মোটরসাইকেল জব্দ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও কোনো গাড়ি থানায় আসেনি।