রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): জাতির জন্ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্লভ দুটি চিঠি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কাউখালী তথ্যকেন্দ্র ও সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফ খসরু উপজেলার কেউন্দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন চিঠি দুটির কপি।

ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৯৫৯ সালের ৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছাকে লেখা চিঠি ও ১৯৬৯ সালে ৪ এপ্রিল ইতালি প্রবাসী কন্যা শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠির কপি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
চিঠি বিতরণের উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. মহিউদ্দিন পান্না। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রত্নেশ্বর মল্লিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হিরণ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম সাবু, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. হাবিবুর রহমানের সন্তান আনিসুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সাধারণ সম্পাদক তুহিন তালুকদার, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিসুজ্জামান, নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনতারান সুলতানা ও চুন্নু ডাকুয়া। আবদুল লতিফ খসরু স্বপ্রণোদিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর লেখা চিঠি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করছেন।
উদ্যোক্তা আবদুল লতিফ খসরু জানান, তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেনি তাদের কাছে এই চিঠিটি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে কিছুটা হলেও শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে, বুঝতে পারবে জাতির জনককে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের পরিচয় তুলে ধরতে তিনি এই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি রাজনীতি করি না, রাজনীতি বুঝি না, তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমার হৃদয়ে ধারণ করি, লালন করি, তাঁকে ভালোবাসি, গভীর শ্রদ্ধা করি। শোকের মাসজুড়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে চিঠি বিতরণের কাজ চলবে বলে তিনি জানান।
কেউন্দিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. আলাউদ্দিন বলেন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেউন্দিয়া গ্রামে এসেছিলেন। তাঁর স্বহস্তে লেখা চিঠি দেখে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।