‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সুন্দরবনের ৬ বাঘ শিকারি

প্রতিনিধি, খুলনা: কয়রায় সুন্দরবনে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছয়জন মারা গেছে। শনিবার দিবাগত রাত তিনটায় তাদেরকে খুলনার কয়রা উপজেলার চরমুখা এলাকা থেকে বাঘের চামড়াসহ গ্রেফতার করা হয়েছিল।

রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মান্দারবাড়িয়া খাল এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা নিহত হন বলে খুলনার পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন কয়রা উপজেলা এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক সানা, শফিকুল ইসলাম গাজী, আনসার আলী সানা, মামুন গাজী, মজিদ গাজী ও বাপ্পী। নিহতরা বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য।

রোববার ভোরে তিনটি বাঘের চামড়াসহ তাদের গ্রেফতারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। তখন এক নারীকেও গ্রেফতার করা হয়। তবে তাকে বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়ে পুলিশ বনে অভিযানে চালায়।

পুলিশ সুপার হাবিব বলেন, গ্রেফতারকৃতদের নিয়ে সুন্দরবনে তাদের আস্তানায় আরও বাঘের চামড়া উদ্ধারের জন্য পুলিশ অভিযান চালায়।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত.ম. রোকনুজ্জামান জানান, শনিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে খুলনার কয়রা উপজেলার সুন্দরবনের দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরমুখা গ্রামের গাজী বাড়ি এলাকা থেকে কয়রা থানা পুলিশ বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সাত সদস্যকে তিনটি বাঘের চামড়াসহ আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের বনদস্যু ইলিয়াস-জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য বলে জানায় এবং সুন্দরবনের গহীনে অস্ত্রভান্ডার রয়েছে বলে স্বীকার করে। দুপুরের পর পুলিশ তাদের নিয়ে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া খালের উত্তর পাশে পৌঁছালে আস্তানায় লুকিয়ে থাকা তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে এক পর্যায়ে ক্রসফায়ারে পড়ে ছয়জন নিহত হয়।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি বাঘের চামড়া এবং চারটি বিদেশি বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, সাত রাউন্ড বন্দুকের গুলি, আটটি গুলির খোসা ও কয়েকটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ হরেন্দ্রনাথ সরকারসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তবে আটককৃত নাজমা বেগমকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে শুক্রবার (৭ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে খুলনা নগরীর নতুন বাজার লঞ্চঘাট থেকে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ৬৯টি হাড়সহ দুজনকে গ্রেফতার করে সদর থানার পুলিশ।