রাহাত হত্যা: খুনের কথা স্বীকার করে ২ আসামির জবানবন্দি

প্রতিনিধি, শেরপুর: সাত বছরের স্কুলছাত্র আরাফাত ইসলাম রাহাত অপহরণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামির মধ্যে আসলাম ও রবিন  ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বুলবুল আহমেদের আদালতে ওই দুই আসামি জবানবন্দি দেয়। গ্রেফতারকৃত অন্য আসামিরা হলেন নিহত শিশু রাহাতের খালু আব্দুল লতিফ (২১), ইমরুন হাসান (২১) ও প্রধান আসামি আসলামের মা জায়দা ওরফে আবেদা।

শনিবার সকাল ৭টায় মামলার প্রধান আসামি আসলামকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ নালিতাবাড়ীর একটি পাহাড় থেক শিশুটির বিচ্ছিন্ন দেহাবশেষ উদ্ধার করে।

রাহাতের বাবা শহিদুল ইসলাম খোকন জানান, ২ আগস্ট শেরপুর শহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকা থেকে  মোবাইল ফোনে গেইম লোড করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে খালু লতিফ ও তার বন্ধুরা রাহাতকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারা মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় পর  শেরপুর সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, রাহাতের বাবার কাছে দবিকৃত মুক্তিপণ নিতে এলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশ ওই শিশুর খালু মো. আব্দুল লতিফসহ (২২) দুজনকে হাতেনাতে আটক করে। তবে অনেক চেষ্টা করেও রাহাতকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপহরণের দিনই দুপুর ৩ থেকে ৪টার মধ্যে আসামি আসলাম ও তার সহযোগীরা রাহাতকে হত্যা করে লাশ গহীন জঙ্গলে ফেলে রেখে আসে।

শেরপুর সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)  মো. শাহজাহান মিয়ার নেতৃত্বে সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা শেরপুর এবং জামালপুর জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়েও রাহাতকে উদ্ধার করতে পারেননি। তবে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে দুজনকেসহ মোট চারজনকে পুলিশ  গ্রেফতার করে।

এ অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে শেরপুরের জনসাধারণের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। রাহাত শহরের বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা শহিদুল আসবাবপত্র ব্যবসায়ী।