প্রতিনিধি, খুলনা: পাইকগাছায় মাহফুজা (১৫) নামের এক নববধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে স্বামী। শনিবার রাতদুপুরে হাত-পা-মুখ বেঁধে তার ওপর নির্যাতন চালায় স্বামী। তার জননাঙ্গে কলার থোড় ঢুকিয়ে নির্যাতন করে এবং কাচি দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। মুখের বাঁধন হঠাৎ খুলে গেলে মাহফুজা চিৎকার করে ওঠলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে রক্ষা করে। মারাত্মক আহত মাহফুজাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী স্বামীকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে তুলে দিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, একমাস আগে পাইকগাছার হরিঢালী গ্রামের ইনছার সরদারের ছেলে ময়নুদ্দীনের সাথে ডুমুরিয়া উপজেলার জামিরা গ্রামের ছহিলউদ্দীনের মেয়ে মাহফুজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ময়নুদ্দীন যৌতুকের জন্য প্রায়ই মাহাফুজাকে শারীরিক নির্যাতন করত। পান থেকে চুন খসলেই তার ওপর নেমে আসত নির্যাতন।
শনিবার রাতে ভাত আনতে দেরি হওয়ার ছুতায় রাত ১২টার দিকে ময়নুদ্দীন মাহফুজার হাত-পা ও মুখ বেঁধে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় তার পরনের কাপড় খুলে সে। গামছা দিয়ে একটি গাছের সাথে বেঁধে রেখে শুরু করে অমানুষিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে তার যৌনাঙ্গে কলার থোড় প্রবেশ করিয়ে দেয়।
এরপর তাকে কাচি দিয়ে কোপ মারতে যাওয়ার সময় হঠাৎ মুখের বাঁধন খুলে গেলে মাহাফুজার চিৎকারে লোকজন এসে তাকে রক্ষা করে। ময়নুদ্দীনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে তারা। এলাকাবাসী আহত মাহফুজাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটিকে যেভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে তা দেখে চোখে পানি ধরে রাখতে পারিনি। ময়নুদ্দীনকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, এর আগেও যৌতুকের দাবিতে ময়নুদ্দীন আরো দুই স্ত্রীকে তাড়িয়ে দিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।