প্রতিনিধি, শেরপুর: আরাফাত ইসলাম রাহাত (৮) অপহরণ ও হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তর ও আসামিদের ফাঁসির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নিকট নাগরিক সমাজের পক্ষে ‘জনউদ্যোগ’ সংগঠকরা এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী বরাবরেও এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে এসব অপরাধীদের সামাজিকভাবে বয়কটের জন্য তাদের পক্ষে আইনি সহায়তা না দিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি/সম্পাদক বরাবরে অনুরোধ জানিয়ে লিখিত আবেদন আবেদন জানানো হয়েছে। অপরাধীরা কলেজ ছাত্র হওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের জন্য শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবরেও আবেদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনউদ্যোগ কমিটির আহ্বায়ক নবারুণ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ।
শিশু রাহাত হত্যাকাণ্ডে তিনদিব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শেরপুর সদর উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আধাঘন্টার শিক্ষার্থীবন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
স্কুলছাত্র শিশু রাহাত অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড নিজেদের দায় স্বীকার করে বিচারিক হাকিম বুলবুল আহমেদের নিকট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আরও দুই আসামি আব্দুল লতিফ এবং তার বন্ধু ইমরান হাসান স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে আরো দুই আসামি আসলাম ও রবিন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে এরা সবাই শিশু রাহাত অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনার সাথে তাদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠান।
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. মেহেদুল করিম বলেন, রাহাত অপহরণ ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী তার খালু আব্দুল লতিফসহ চার আসামি হত্যার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হবে।
গত ২ আগস্ট রোববার দুপুরে শহরের বিপ্লব-লোপা মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত ইসলাম রাহাতকে (৮) তার আপন খালু আব্দুল লতিফ অপহরণ করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ৮ আগস্ট শনিবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের কাছে মাজারের টিলা নামে একটি পাহাড় থেকে রাহাতের কংকাল উদ্ধার করা হয়। রাহাত শহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকার কাঠের আসবাপত্র ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ও রিনা বেগমের ছেলে।