প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কাউন্সিলর শাহিদা বেগমের ছেলে নজরুল ইসলাম নজুকে (২৮) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ের বিজিবি খুলনা সেক্টর সদর দপ্তর সংলগ্ন খুলনা-যশোর মহাসড়কে তাকে গুলি করা হয়।
নজু খুলনা বেবিট্যাক্সি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি সোহরাব হোসেন দাদো ও কেসিসি’র সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহিদা বেগমের ছেলে।
রাতে পুলিশ মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মনিরুজ্জামান মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাউন্সিলর সাহিদা বেগম বলেন, মঙ্গলবার তার ছেলের সঙ্গে স্থানীয় রনি ভিলার সোহেলের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তিনি নজুকে হুমকি দেন। এর জের ধরে তার ছেলেকে হত্যা করা হতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করছেন। তবে কান্নায় তিনি আর কথা বলতে পারেননি।
নগরীর দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের বাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সারা জীবন জড়িত ওযার্ড কাউন্সিলর শাহিদা বেগম ও তার পরিবার গত ২০১৩ সালে খুলনার শীর্ষ নেতাদের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি গত সিটি নির্বাচনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। তবে শাহিদা বেগম বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পুনরায় বিজয়ী হন। ওই সময়ে তিনি দলীয় নিজের ভোট না চেয়ে দলীয় মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রচারণা চালান। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে শাহিদা বেগম তৎকালীন শ্রমপ্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে আলোচনায় আসেন। এ সময়ে তাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে তিনি একাধিকবার গণমাধ্যমকে জানান। সর্বশেষ তার ছেলে হত্যা হওয়ায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।