এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন কাজে বাধা, এএসপি (সার্কেল), এসিল্যান্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বার্হী প্রকৌশলীসহ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর ও ডাকপাড়া গ্রামের ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুর-শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও হামলার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কুলুরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো. বাদল মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নাব্যতা বাড়ানোর জন্য রোববার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ডাকপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করতে গেলে দখলদার বাদল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকশ’ লোক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শেরপুরের এএসপি (সার্কেল) মো. শাজাহান মিয়া, এসিল্যান্ড মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ১০ জন আহত হন।
শেরপুরের এএসপি (সার্কেল) মো. শাজাহান মিয়া জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে দুপুরে জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নদী খনন নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লার রহমান এতে অংশ নেন।
শেরপুরের জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম জানান, নদী খনন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ওই এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নদী খনন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দু-এক জনের স্বার্থে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ হানি হবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে মানুষকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে কোনো সংঘাত ছাড়া এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।