২০ বছর পর কেশবপুরের সামাদ হত্যার রায়, ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি: খুলনা: যশোরের কেশবপুর উপজেলার  কৃষক আবদুস সামাদ হত্যা মামলায় ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত ।

বুধবার বেলা দেড়টায়  খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন । চাঞ্চল্যকর এ মামলার অপর দুটি পৃথক ধারায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত । প্রায় ২০ বছর আগে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

মামলার দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রফিক ওরফে রফিকুল ইসলাম , সিরাজুল ইসলাম, দ্বীন ইসলাম, শাহাদৎ হোসেন, রাজ্জাক, আলতাফ হোসেন, তোরব হোসেন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন , রফিক ও রাজ্জাক আকঞ্জী ।

আদালত সূত্রে জানা য়ায় , জমিজমা ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৯৯৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আসামিরা সামাদের বাড়ির লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে আসে । বাড়ির অদূরে প্রাইমারি স্কুলে এনে সামাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামাদ মারা যান ।

সামাদের বাবা নজর আলী বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন । ১৯৯৬ সালের ২৩ জানুয়ারি কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ১২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন । আদালতে বিভিন্ন কার্যদিবসে চার্জশিটভুক্ত ২৭ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ রায় ঘোষণা করেন।

গেল মার্চ মাসে চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালত থেকে খুলনার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়।