আতাউর রহমান মিন্টু, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): গফরগাঁওয়ের পাগলা থানায় বুধবার রাতে মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশের হাতে পিস্তলসহ আটক এক ছাত্রলীগ নেতা ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনতাই এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পাগলা থানার এএসআই কাশেম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় অস্ত্রসহ আটক ও পরে ছিনতাই হওয়া উস্থি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল আহম্মেদ এবং একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা আলম মিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
পুুলিশের কর্তব্যে বাধা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল বাশার মনি, উস্থি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রুবেল মিয়াকে প্রধান আসামি করে এজাহারে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত পরিচয় আসামি করা হয়েছে আরো ৬০ জনকে।
পাগলা থানার এসআই হাবিবকে মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ওসি বদরুল আলম খান জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বুধবার সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব কান্দিপাড়া গ্রামের মসজিদের মোড় এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাগলা থানার এএসআই কাশেম ও এএসআই পরিমল ইয়াবা ও ফেনসিডিল বিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় উস্থি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রাসেল আহম্মেদ ও ইউপি সদস্য আলম মিয়া আটক হয়। পুলিশ রাসেলের শরীর তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।। আটকের পর তাদের রিকশাযোগে থানায় নেওয়ার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কান্দিাপাড়া বাজারের কলেজ রোড এলাকায় পুলিশের কাছ থেকে তাদের ৬০/৭০জন সহকর্মী আটক দুটি নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় এএসআই কাশেম, এএসআই পরিমল, কনস্টেবল আনিস ও হামিদকে কিল-ঘুষি মারে। পুলিশ উদ্ধারকৃত পিস্তলটি থানায় নিয়ে যায়