আতাউর রহমান মিন্টু, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): কৃষি ব্যাংক গফরগাঁও শাখায় এক প্রবাসীর সঞ্চয়ী হিসাব থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ওই হিসাবে আত্মসাৎ করা টাকা ফেরত দিয়েছেন। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা।
‘প্রবাসীর টাকা মেরে দিয়েছেন গফরগাঁও কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তারা‘ শিরোনামে দেশের খবরে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলার বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। টনক পড়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের। এরপর ওই কর্মকর্তারা ওমান প্রবাসী খায়রুল ইসলামের সঞ্চয়ী হিসাবে ৮০ হাজার টাকা ফেরত দেন।
বুধবার দুপুরে ব্যাংকের পক্ষ থেকে সঞ্চয়ী হিসাব প্রবাসী গ্রাহক মো. খায়রুল ইসলামের মা রত্না খাতুনকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ব্যাংকের এ শাখার সিনিয়র অফিসার আব্দুল আজিজ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুস ছালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ওমান প্রবাসী মো. খায়রুল ইসলাম বিদেশে যাওয়ার একমাস আগে গত ৩০ নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক গফরগাঁও শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। এ হিসাবের বিপরীতে তিনি ব্যাংক থেকে কোনো চেক বই উঠাননি। গত ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাঁচটি কিস্তিতে সর্বমোট এক লাখ টাকা তার হিসাবে জমা করেন খায়রুল। কিন্তু ব্যাংকের কর্মকর্তাদের একটি চক্র খায়রুল ইসলামের সঞ্চয়ী হিসাবের বিপরীতে চেক বই ইস্যুর জন্য নিজেরাই আবেদন করে গত ২৬ জুলাই চেক বই তোলে। তারা ওই দিনই খায়রুল ইসলামের স্বাক্ষর জাল করে ৭৫ হাজার টাকা তুলে নেন। ৩০ জুলাই আরো ৫ হাজার টাকা তোলেন তারা। টাকা তোলার সময় ব্যবহৃত চেকের লেখাগুলোও এ শাখার কর্মকর্তার বলে জানা গেছে।
খায়রুল ইসলামের মা রত্না খাতুন বলেন, ব্যাংকের লোকজন গত ১০ দিন ধরে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও এ নিয়ে টালবাহানা করেছে। এখন সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশিত করলে তারা টাকা ফেরত দিয়েছে।
ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুস ছালাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।