হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: স্কুল নির্ধারিত টেইলার্স থেকে স্কুলের পোশাক না বানানোর কারণে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এ ছাড়া ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রায় এক ঘন্টা স্কুল মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখেন ওই শিক্ষক। এ ঘটনা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার।
জানা গেছে, উপজেলার এসকেএমএইচ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈ বিদ্যালয়টির ছাত্র-ছাত্রীদের কদম বাড়ী বাস স্ট্যান্ডের কিরনের টেইলার্স থেকে স্কুল ড্রেস বানাতে বলেন। তার এই নির্দেশনা অমান্য করে স্কুলটির প্রায় অর্ধশত ছাত্র-ছাত্রী স্কুলের পাশের একটি টেইলার্সসহ বিভিন্ন টেইলার্স থেকে তাদের স্কুল ড্রেস তৈরি করিয়ে নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বুধবার স্কুলের ১০ম শ্রেণির সীমা বল্লভ, প্রসেনজিৎ হালদার, ৯ম শ্রেণির চয়ন বাড়ৈ, পিংকু সরকার, রাজু বল্লভ, ৮ম শ্রেণির সুপ্রিয়া গাইন, চয়ণ বল্লভ, ৬ষ্ঠ শ্রেণির হরিদাসসহ ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন অমৃত কুমার। এদের মধ্যে চয়ন বাড়ৈসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য স্কুল পরিচালনা কমিটি আহতদের স্কুল হোষ্টেলে চিকিৎসা করান।

চয়ন বল্লভ জানায়, আমাদের প্রধান শিক্ষক যে টেইলার্স থেকে আমাদের স্কুল ড্রেস বানাতে বলেছে সেখানে আট শত টাকা লাগে। কিন্তু আমরা অন্য টেইলার্স থেকে ছয় শত টাকা করে দিয়ে স্কুল ড্রেস তৈরি করেছি। এতে স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বেত্রাঘাত করেছেন। এমনকি গত বুধবার ওই টেইলার্স থেকে ড্রেস না বানানোর অপরাধে বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ২৫ জন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
সরেজমিনে শনিবার স্কুলে গিয়ে দেখা যায় প্রধান শিক্ষকের বেত্রাঘাতকৃত অনেক ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসেনি।
এ ব্যাপারে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার বাড়ৈর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার স্কুলে ঘটেনি। আমি কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করিনি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য রবীন্দ্র নাথ বল্লভ বলেন, আমাদের প্রধান শিক্ষক একজন ভালো মানুষ। একটি মহল তাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন ,ঘটনাটি যদি সত্য হয়ে থাকে তা হলে অমৃত কুমার বাড়ৈর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।