হাকিম বাবুল, শেরপুর: থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রোববার এ দুই উপজেলার আরও ৪০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় অন্তত ৭০টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
বন্যাকবলিত এলাকার প্রায় তিন শতাধিক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা আমন ক্ষেত, মৎস্য খামারসহ গ্রামীণ রাস্তাঘাট। পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষ। এসব এলাকার লোকজন অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানগুলোতে অবস্থান নিচ্ছেন। পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর বাকাকুড়া-ধানশাইল ইউনিয়ন বোর্ডের রাস্তাটির কয়েক স্থানে ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এফ. এম. মোবারক আলী জানিয়েছেন, ১৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের বন্যায় ৩ হাজার ৩২৬ হেক্টর জমির আমন ধান পানিতে ডুবে গেছে। বন্যার পানি বাড়লে এবং দ্রুত নেমে না গেলে আমন ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।