প্রতিনিধি, খুলনা: বাঘের একটি চামড়াসহ বাঘ ও অন্যান্য পশুর চামড়া পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব-৮ এর একটি দল বরিশাল থেকে এসে খুলনা নগরীর পূর্ব বানিয়া খামার এলাকা থেকে বাঘের চামড়াসহ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, র্যাব সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরের দিকে খুলনা নগরীর পূর্ব বানিয়া খামার লোহারগেট সংলগ্ন আবদুল আলীমের বাড়িতে অভিযান চালায়। তারা ওই বাড়ি থেকে ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা একটি বাঘের চামড়াসহ ভাড়াটিয়া খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের গোলাপ গাজীর ছেলে আবদুল জলিল গাজী (৫০) এবং ঢাকার উত্তরার হারেজ ফকিরের ছেলে মো. আশরাফ ফকিরকে (৫৫) গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে র্যাব-৬ খুলনার অপস অফিসার (ডিউটি) মেজর সাকিলুজ্জামান বলেন, র্যাব-৮ এর একটি টিম খুলনায় অভিযান চালিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।
র্যাব-৮ এর সহ-অধিনায়ক মেজর আদনান জানান, একটি চক্র বাঘের চামড়া বিদেশে পাচার করার জন্য খুলনা শহরের একটি বাড়িতে মজুদ করেছে এরকম খবর পেয়ে তারা মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালান। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আবদুল জলিল এবং মো. আশরাফকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে একটি বাঘের চামড়া, দুটি মোবাইল সেট এবং তিনটি সিম উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা দেশের বাইরে বাঘ ও অন্যান্য পশুর চামড়া পাচারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত বলে স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের ত্রাস ইলিয়াস ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা তিনটি বাঘের চামড়া পাচার করছে মর্মে খবর পেয়ে কয়রা থানা পুলিশ গত ৯ আগস্ট চরামুখা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাঘ শিকারি শফিকুলকে তিনটি চামড়াসহ গ্রেফতার করে। পরে তাকে নিয়ে পুলিশ সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে আনসার সানা, সিদ্দিক সানা, বাপ্পি হোসেন, রফিকুল ইসলাম, মজিদ গাজী ও মামুন গাজী নিহত হয়। এছাড়া পুলিশ ৭ আগষ্ট নগরীর নতুন বাজার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে এনায়েত হোসেন ও বাবু হোসেন নামে বাঘ শিকারি চক্রের দুই সদস্যকে বাঘের ৬৯ টুকরো হাড়সহ গ্রেফতার করে।