মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): সাত বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও গুম করে দেয়ার অভিযোগে জাকির আকন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে মহীপুর পুলিশ তদন্দ কেন্দ্রের পুলিশ তাকে আটক করে কলাপাড়া থানায় পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের বরকতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ওই শিশুকে রোববার বাদাম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে একই গ্রামের হামেদ আকনের ছেলে দুই সন্তানের জনক জাকির আকন। এতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটির পরিবারকে প্রথমে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে জাকিরের পরিবার। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার শিশুটিকে গোপনে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী নিয়ে যায় জাকিরের স্ত্রী তাছলিমা। তারপর থেকে শিশুটির আর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। শিশুটি এখন কোথায় আছে তা জানাতে পারছে না জাকিরের পরিবারের সদস্যরা। শিশুর পরিবারের সদস্যরা চারদিন ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছে তাকে।
নিখোঁজ শিশুটির প্রতিবেশীরা জানান, শিশুটির মা ও বাবা দুজনই বাক-প্রতিবন্ধী। নানাবাড়িতে থেকে শিশুটি লেখাপড়া করে। শিশুটির মা বাসায় বাসায় পানি টানে ও বাবা দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা আরো জানান, রোববার বিকালে নির্যাতনের শিশুর কান্না শুনতে পান তারা। তার জননাঙ্গ থেকে রক্ত ঝরতে দেখেছেন তারা । শিশুটি কেঁদে কেঁদে বলছিল, জাকির তাকে’ মেরেছে।’
মহীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মনিরুজ্জামান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জাকিরকে আটক করে কলাপাড়া থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। কলাপাড়া থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা পটুয়াখালীর বিভিন্ন হাসপাতালে খবর নিয়েছেন। কিন্তু সেখানে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়নি। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাকিরকে আটক করা হয়েছে। শিশুটি উদ্ধার হলে এ ঘটনার মূল রহস্য বের হয়ে আসবে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।