মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): কলাপাড়ায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া সাত বছরের শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণ ঘটনার সাতদিন পর শনিবার সকালে উপজেলার ডালবুগঞ্জ গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।
বরকতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রীটিকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় শিশুর নানি ফুলবানু কলাপাড়া থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি নির্যাতনকারী দুই সন্তানের জনক জাকির আকনকে গ্রেফতার করেছে।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বাদাম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে জাকির আকন শিশুটিকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে জাকিরের পরিবার। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার শিশুটিকে গোপনে চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী নিয়ে যায় জাকিরের স্ত্রী তাছলিমা। ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার দুপুরে পুলিশ মহীপুর থেকে জাকির আকনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে জাকির শিশুটিকে পটুয়াখালীর এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে চিকিৎসা করায়। কিন্তু এ ঘটনা শিশুটির পরিবারকে না জানানোর কারণে তারা হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে। পুলিশের হাতে জাকির গ্রেফতার হওয়ার পর শুক্রবার রাতেই শিশুটিকে বরকতিয়া গ্রামে নিয়ে আসলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়।
নিখোঁজ শিশুটির প্রতিবেশীরা জানান, শিশুটির মা ও বাবা দুজনই বাক-প্রতিবন্ধী। বরকতিয়া গ্রামে নানা বাড়িতে থেকে শিশুটি লেখাপড়া করে। শিশুটির মা অন্যের বাসায় বাসায় পানি টানে ও বাবা দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.আজিজুর রহমান জানান, প্রথমে নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ শুনে জাকিরকে জিঞ্জাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধারের পরে বিস্তারিত শোনার পরে ধর্ষণের ঘটনাটি জানা গেল। নির্যাতিত শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।