আব্দুল্লাহ আবু এহসান, মধুপুর (টাঙ্গাইল): ‘মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা’ প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা হবিবুর রহমান। ওই মুক্তিযোদ্ধার ক্রয়কৃত স্বত্ব দখলীয় জমি ভুলভাবে সরকারি মালিকানায় রেকর্ড হওয়ার পর তা সংশোধন করাতে ব্যর্থ হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় মধুপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই ঘোষণা দেন।

জানা যায়, ১৯৭৯ সালের ২৭ জুন মধুপুর উপজেলার টেংরী মৌজার ৭৬নং দাগে ৭নং খতিয়ানের ৯৯ শতাংশ জমি কেনেন হাবিবুর রহমান। পরবর্তীতে ক্রয়কৃত জমির কিছু অংশ বিক্রির পর ৭৬ শতাংশ জমি নিজে ভোগ-দখল করে আসছেন। কয়েক বছর পূর্বে নতুন জরিপে তার ৭৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশ জমি সঠিকভাবে জরিপ কাগজে লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু বাকি ৪৬ শতাংশ ভুলভাবে সরকারি মালিকানায় লিপিবদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ওই জমির কাগজপত্র সংশোধনের জন্য দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও ব্যর্থ হতে চলেছেন। তাই তিনি বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখানের।’ জমির কাগজপত্র যদি তার মৃত্যুর পূর্বে সংশোধন না হয় তাহলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনে ব্যবস্থা না করার জন্য সরকারি লোকজনকে অনুরোধ জানান। এ সময় মধুপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের সহকারী কমান্ডার হাফিজুর রহমান শরাফতসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।