বোমা মেরে যশোরের শিক্ষক হত্যার দায়ে চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

প্রতিনিধি, খুলনা: যশোরের মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিতুজ্জামান ওরফে মহিত মাস্টারসহ সাত আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালত।

যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সঞ্জয় হালদার হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

বোমা হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে সঞ্জয় হালদার ২০০৮ সালের ১৭ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাকে খুন করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন মণিরামপুরের রোজিপুর গ্রামের প্রসেন হালদার (৪২), মহেন হালদার (৪০), হিরামন হালদার (২৮), বিধান হালদার (৪০), খাকুন্দি গ্রামের আনিচুর রহমান (৩৫) এবং মনোহরপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (২২)। মহিত চেয়ারম্যানসহ এদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট এনামুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনামুল হক আরো জানান, ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় রোজিপুরের বাড়ি থেকে পাশের কুমরঘাটা বাজারে যান সঞ্জয় হালদার। কেনাকাটা শেষে রাত ১০টার দিকে বাড়ির ফেরার পথে এলাকার আমজাদ ও মোজাম বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বাঁশবাগান লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা সঞ্জয় হালদারের ওপর বোমা হামলা চালায়। বোমার আঘাতে সঞ্জয়ের দেহ ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। তাকে দ্রুত যশোরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সঞ্জয় মারা যান।

সঞ্জয়ের স্ত্রী বেহুলা হালদার বাদী হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের আসামি করে ১৭ মার্চ মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার ওসি এস এম আলী আজম সিদ্দিকী ২০০৮ সালের ২৫ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যশোরের আদালত থেকে মামলাটি খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে স্থানান্তরিত হয়।