মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): অনেক দিন ধরে ইদ্রিস বায়না ধরে আসছিল তাকে একটি বাঁশি কিনে দিতে হবে। বন্ধুরা বিকেলে খেলার মাঠে বাঁশি বাজায়, তারও একটি বাঁশি চাই। বাজার ঘুরে অনেক নয় বছরের ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে একটি খেলনা বাঁশি কিনে এনে দেন ওর বাবা হোসেন খাঁ। সেই বাঁশিই কাল হলো পরিবারটির। বাঁশি গলায় আটকেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় শিশুটির।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রাম সোমবার সকালের এ মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
সকালে প্লাস্টিকের খেলনা বাঁশি নিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলা করতে বের হয় ইদ্রিস। খেলা শেষে বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নামে। পুকুরের পানিতে ঝুলে থাকা গাছ দিয়ে লাফিয়ে পানিতে পড়ে দুষ্টামি করছিলো ইদ্রিস। হঠাৎ মুখে বাঁশি নিয়ে পুকুরের পানিতে লাফ দেয়ার পর বাঁশিটি ভেতরে ঢুকে গলায় আটকে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তারের ঘোষণা আসে: ইদ্রিস আর বেঁচে নেই, হাসপাতালে আনার আগেই; বাঁশিটি তার শ্বাসনালীতে আটকা পড়েছিল।