পারমাণবিক শক্তি নিয়ে বই উপহার পেল পাবনার শিক্ষার্থীরা

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় আণবিক শক্তি কর্পোরেশন ‘রসাটম’ পাবনায় স্কুল শিক্ষার্থীদের পারমাণবিক শক্তি বিষয়ক বই উপহার দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৩০টি স্কুলের এক হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী এ বই পেয়েছে।

বাংলা ভাষায় অনূদিত ‘পারমাণবিক শক্তি : প্রশ্নোত্তর’ শীর্ষক বইটি এবারের একুশের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের রসাটমকে বই বিতরণে সহায়তা করছে।

Rosatom distributes books on neclear energy among pabna students
পারমাণবিক শক্তি বিষয়ক বই হাতে রাধানগর  মজুমদার একাডেমির শিক্ষকরা।

পারমাণবিক শক্তি, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা, নিরাপত্তা এবং পরিবেশের ওপর এর প্রভাব সংক্রান্ত সচরাচর জিজ্ঞাসিত ৩০টি প্রশ্নের উত্তর রয়েছে বইটিতে। এছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পারমাণবিক জ্বালানিসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর ছবিও স্থান পেয়েছে এতে।

রসাটমের অঙ্গসংগঠন রসাটম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ­াদিস্লাভ বাচকোভ বই বিতরণ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ বছরের গোড়ার দিকে আমরা পরমাণু শক্তি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। যেখানে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে সে অঞ্চলের জনগণকে পরমাণু শক্তির বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে অবহিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে ঈশ্বরদী এবং পাকশীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যেও এ বই বিতরণ করা হয়। রসাটম চলতি বছরেই ঈশ্বরদী ও পাবনাতে আরো কিছু জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। ঈশ্বরদীতে একটি আধুনিক তথ্যকেন্দ্র খোলা হবে, যেখানে আগ্রহীরা আণবিক শক্তি, বিশেষ করে রূপপুর প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বর্তমানে ঢাকার বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারে অনুরূপ একটি তথ্য কেন্দ্র চালু রয়েছে।

রসাটম ঈশ্বরদীর রূপপুরের দুটি আণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট নির্মাণের কাজ করছে। প্রতিটি ন্যূনতম ১,০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মূল কাজ শুরু হবে ২০১৬ সালে ।

  • বিজ্ঞপ্তি