পিরোজপুর, দিনাজপুর ও নেত্রকোনায় সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন মারা গেছেন। নেত্রকোনার দুর্ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
পিরোজপুরের কাউখালীতে সোমবার রাস্তা পারাপারের সময় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী নিহত হন। তার নাম রোকেয়া খাতুন (৪২)। তিনি দাশেরকাঠি গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সকালে কাউখালী-কেউন্দিয়া সড়কের আমরাজুড়িতে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত আটোরিকশার নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হন তিনি। তাকে প্রথমে কাউখালী হাসপাতালে পরে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলে মারা যান তিনি।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ দুই মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেছে। উপজেলার সাতোর ইউনিয়নে প্রাণনগর এলাকায় রোববার রাতে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্রো-চ-৮৪২৫) সাথে সংঘর্ষ হলে পঞ্চগড় থেকে মোটরসাইকেলযোগে দিনাজপুর যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল আরোহী জামাল উদ্দিন (৩২) ও মো. সাদি (৩০) ঘটনাস্থলে মারা যায়।
পুলিশ রাত সাড়ে লাশ ও বিআরটিসি বাস থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নেত্রকোনা ময়মনসিংহ সড়কের ঝাউসী এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত ও দুই নারীসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত খেলন মিয়ার (৫৫) বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার নওগাও গ্রামে। তার বাবার নাম মনির উদ্দিন।
গুরুতর আহত নেত্রকোনা শহরের গরুহাট্টা এলাকার নাজিম (৬০), তার স্ত্রী শেফালি (৪০), পূর্বধলা উপজেলার রুবেল (২৫) ও মমতাকে (৩৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা অটোরিকশার পাঁচ যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খেলন মিয়াকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহতদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
- প্রতিনিধি