বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় শেরপুরে ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হাকিম বাবুল, প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ২৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এলাকার সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর পল্লী বিদ্যুৎ বিভাজন ও বিতরণ কার্যক্রমের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। ৯ সেপ্টেম্বর বুধবার এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. ফসিহুর রহমান জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশিকুড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, কুদরত আলী, সুরুজ্জামান, বাতকুচি গ্রামের মোবারক হোসেন, লাল মিয়া, মজিবর রহমান, আলী হোসেন, নজরুল ইসলাম, সাহেদ আলী, জহুর হোসেন, ফিরোজ মিয়া, ইলিয়াস আলী, নুরল হক মেম্বার, আলী হোসেন, ইমরান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের আবুল কাশেম, আকরাম হোসেন, নজরুল ইসলাম, আলকাছ মিয়া, শাহাব উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, চাঁন মিয়া মেম্বর, জয়নাল আবেদীন ঠিকাদার।

আসামিরা প্রথম পর্যায়ে ১৪৮ কিলোমিটার ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২০ কিলোমিটার মঞ্জুরিকৃত বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনে অল্প সময়ে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা বলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ২০৯ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডলিয়াপাড়া ইউনিয়নে ২১৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গ্রাহকভেদে ৭ হাজার টাকা থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মাসরুরুল হক খান জানান, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে একজন গ্রাহককে মিটারের জন্য ৬০০ টাকা ও সদস্য ফি বাবদ ২০ টাকাসহ সর্বমোট ৬২০ টাকার বাইরে আর কোনো অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। তবে ঘরে ওয়্যারিং-এর খরচ গ্রাহক বহন করবে।  এর বাইরে কেউ কোন অর্থ গ্রহণ করলে সেটা বেআইনি।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. ফসিহুর রহমান পল্লীবিদ্যুতের সংযোগের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দু’টি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।