শেরপুরে বন্যার পানি কমছে, নদীতীরবাসীদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক

হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুরে বন্যাকবলিত সদর উপজেলার চরাঞ্চলের পানি নামতে থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের পানি গত দুদিন ধরে কমছে। তবে শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান ডাইভারশনের ওপর দিয়ে আজও (শনিবার) একফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। দুপুরের দিকে ওই সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ ডাইভারশন হয়ে মুন্সীরচর থেকে ২০ মণ পাটবোঝাই একটি ঘোড়ার গাড়ি জামালপুর যাওয়ার পথে পানির ঘুর্ণিপাকের মধ্যে পড়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িচালক কোনোমতে বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলেই ঘোড়াটি মারা যায়। চরপক্ষ্মীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, পানি কমার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে নদীভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কামারের চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবীবুর রহমার হাবীব বলেন, একবার পানি বৃদ্ধির সময় ৬ নং চর , ৭ নং চর, পয়স্তির চর এলাকার নদীভাঙনে কয়েকটি পরিবারের ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন পানি কমার সাথে সাথে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবীবুর রহমান জানান, পানি নামতে শুরু করেছে। এতে শেরপুর সদর উপজেলার ছয় ইউনিয়নের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যাবে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।