আজিজুল ইসলাম, মৌলভীভাজার: অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে উদ্যোগ নিলেন মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ২৩ জন লাইনম্যান। শপথ নিলেন অনিয়ম বন্ধের। তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ওই কার্যালয়ের ৬০ কর্মীও একই শপথ নিলেন।
একসময় মিটার সংযোগ, অভিযোগ নিষ্পত্তি, মিটার পরিবর্তন, ট্রান্সফরমার লাগানো, নতুন লাইন টানার ক্ষেত্র নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এসব দুর্নীতি-অনিয়েম রোধে পোস্টারিং, মাইকিংসহ হ্যান্ডবিল ও বিতরণ করেছে। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। কমেনি গ্রাহক হয়রানি। আজ সেই বিদ্যুৎ বিভাগই দুর্নীতি প্রতিরোধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে পোস্টার মাইকিং, হ্যান্ডবিল বিতরণ করলেও তা কাজে আসেনি। নিজেদের মধ্যে এমন আলোচনাকালেই চিন্তা আসে কর্তৃপক্ষ চাইলেও অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ সম্ভব নয়। যদি না নিজেরা আগে অনিয়ম-দুর্নীতিকে ‘না’ বলেন। সে ভাবনা থেকেই তারা শপথ নিলেন আর অনিয়ম-দুনীতি করবেন না, এর প্রশ্রয়ও দেবেন না।
বিদ্যুৎকর্মী নিরঞ্জন চন্দ্র রায় জানান, তার মাথায় এমন চিন্তা আসার পরই তিনি সিনিয়র বিদ্যুৎকর্মী ফজলুল হককে জানান। তিনিও তার সঙ্গে একমত হন। এরপরই বৃহৎপরিসরে বসে সবার সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেন।
বিদ্যুৎকর্মী ফজলুল হক বলেন, আমরা নিজেরা বসে আলোচনা করছিলাম, এমন সময় অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা ওঠে। তখন আমরা নিজেরা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়াবো না এবং প্রশ্রয় দেব না–এ ব্যাপারে সবাই একমত হই।
রাজনগর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের এজিএম উবায়দুল হক জানান, তারা যা করছে এটাকে আমি ‘চেষ্টা’ বলবো। এখনই এই সার্টিফিকেট দেয়া সম্ভব নয় যে আমরা ভালো হয়ে গেছি। ছয় মাস পরই বোঝা যাবে আমাদের চেষ্টা সফল হয়েছে কিনা।
মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম শিবু লাল বসু জানান, আমরা বশে কিছুদিন থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছি। তারা বিষয়টি দেখে হয়তো এ উদ্যোগ নিয়েছে। শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা হয়তো সম্ভব নয়।