প্রতিনিধি, শেরপুর: গত সাড়ে ছয় বছরে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায়, তার নেতৃত্বে আমরা দেশটাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে গেছি যে, আমরা যদি ভিজিএফের চাল নাও দিতাম, আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভাত না খেয়ে থাকবে না। এই দিনগুলো দেখার জন্যই কিন্তু আমরা রাজনীতি করি।
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শেরপুরের নকলায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্র মানুষের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা যে জেল খাটি, জুলুম সহ্য করি, কী কারণে করি ? দেশের চেহারা বদলানোর জন্য করি। সেই দায়িত্ব আমাদের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা মনে করে আমি যে শক্তি পাই, যে দায়িত্ব বোধ করি, সেই বোধ, সেই দায়িত্ব থেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সফল করে আমরা দেশের মানুষকে খাওয়াচ্ছি, পরাচ্ছি, লেখাপড়া করাচ্ছি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, একসময় বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে লোক গেলে তাদেরকে বলা হতো বাংলাদেশ থেকে ‘মিসকিন’ এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সেই মিসকিনের দেশের অপবাদ থেকে মুক্ত করেছেন। আমরা এখন সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বীকৃতি পাচ্ছি। বাংলাদেশ গরিব দেশ থেকে এখন নিম্ন মধ্যবিত্ত দেশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক-এডিবিও এখন আমাদেরকে মধ্যম আয়ের দেশ বলছে। আগামীতে আমরা মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত দেশে পরিণত হব।

মন্ত্রী আরো বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৩ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচার হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। যে কারণে এখন আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের জজদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
চাল বিতরণকালে জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিজের নির্বাচনী এলাকা নকলা ও নালিতাবাড়ীর প্রায় ১৫ হাজার গরিব মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন মতিয়া চৌধুরী। গতকাল তিনি সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক শেষে নালিতাবাড়ী এসে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাঘবেড়, রাজনগর, নন্নী ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের হতদরিদ্রের মাঝে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন, শেরপুরের পৌর মেয়র হুমায়ন কবীর রুমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতারা।