মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের যৌন হয়রাণির অভিযোগকে পুঁজি করে মুদি-মনোহরি দোকানি জাফর ফরাজির পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাফর ফরাজির দুই মেয়ের একজন কলেজে পড়ে, অন্যজনসপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। হয়রানির কারণে তারা এখন বাড়ি ছেড়ে কলাপাড়া শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। হয়রানি থেকে বাঁচতে তারা কলাপাড়া প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
দুই বোনের দাবি, তাদের বাবার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগ মিথ্যা। ওই বিদ্যালয়ের সামনে দোকানঘর তোলার সময় তাদের কাছে একটি স্থানীয় চক্র ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তারা চক্রান্ত শুরু করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বাবাকে হকিস্টিক, লাঠি ও লোহার শিকল দিয়ে মারধর করা হয়। তাদের বাবার আয়ের পথ দোকানটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিবারটিকে একঘরে করা হয়েছে। বাড়িতে তাদের মা নিরপত্তাহীনতার মধ্যে তাদের মা একা অবস্থান করছেন। দুই বোন গোটা বিষয়টির জন্য স্থানীয় মামুন গাজী, বাবুল হাওলাদার, আইয়ুব আলী হাওলাদারসহ কয়েকজনকে দায়ী করেছে।
উল্লেখ্য, ১০ শিশুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে জাফর ফরাজির বিচার দাবি করে মিঠাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা রোববার দুপুরে কলাপাড়া শহরের বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ওই দিন জাফর ফরাজিকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মোহা. আজিজুর রহমান জানান, কাউকে অযথা হয়রানির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।